জাতীয় প্রেস ক্লাবের আওয়ামী সমর্থিত প্যানেল ১৩টিতে নিরঙ্কুশ জয়

Post Image

জাতীয় প্রেস ক্লাবের ব্যবস্থাপনা কমিটির দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি পদে যুগান্তরের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সাইফুল আলম ও সাধারণ সম্পাদক পদে ইত্তেফাকের ফরিদা ইয়াসমিন নির্বাচিত হয়েছেন।

সভাপতি পদে সাইফুল আলম ভোট পেয়েছেন ৬২১টি। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ইকোনমিক টাইমস-এর শওকত মাহমুদ পেয়েছেন ৪৩১ ভোট।

আর সাধারণ সম্পাদক পদে পুনঃনির্বাচিত ফরিদা ইয়াসমিন পেয়েছেন ৫৬৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আমার দেশের ইলিয়াস খান ভোট পেয়েছেন ৪০৬টি। এর ফলে প্রেস ক্লাবের ৬৪ বছরের ইতিহাসে ব্যবস্থাপনা কমিটির শীর্ষ পদে ফরিদা ইয়াসমিন পরপর দুবার নারী সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন।

কমিটির ১৭টি পদের মধ্যে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্যানেল সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ১৩টিতে নিরঙ্কুশ জয় পেয়েছে। অন্যদিকে, বিএনপিপন্থি প্যানেল থেকে দুটি এবং স্বতন্ত্র পদে সরকার সমর্থক ও বিএনপিপন্থী দুইজন জয়লাভ করেছেন।

মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এই ফল ঘোষণা করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান প্রেস ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক শাহ আলমগীর। এ সময় কমিটির অপর চার সদস্য মো. মোস্তফা-ই-জামলি, এসএএম শওকত হোসনে, মোস্তাফজিুর রহমান ও উদয় হাকমি উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে প্রেস ক্লাব মিলনায়তনে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে এক হাজার ২১২ ভোটারের মধ্যে এক হাজার ৭২ জন ভোট দেন।

ফল ঘোষণার পর ক্লাব সদস্যদের উদ্দেশে এক প্রতিক্রিয়ায় নবনির্বাচিত সভাপতি সাইফুল আলম বলেন, নবগঠিত কমিটি ক্লাবের উন্নয়নে গতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে আরও নিরলসভাবে কাজ করে যাবে। তিনি সকলের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন।

এ সময় প্রধানমন্ত্রীর তথ্যউপদেষ্টা বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি ইকবাল সোবহান চৌধুরী, বিএফইউজের সভাপতি মোলতা জালাল, সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল, বর্তমান মহাসচিব শাবান মাহমুদ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আবু জাফর সূর্য,সাধারণ সম্পাদক সোহেল হায়দার চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। ফল ঘোষণার পর বিজয়ীরা প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।

সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ কার্যনির্বাহী পরিষদের মোট ১৭টি পদে ৪৪ প্রার্থী এবারের নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী দুটি পূর্ণাঙ্গ প্যানেলের মধ্যে ছিল আওয়ামী লীগ সমর্থিত সাইফুল আলম -ফরিদা ইয়াসমিন প্যানেল এবং বিএনপিপন্থি শওকত মাহমুদ ও ইলিয়াস খান প্যানেল। এ ছাড়া ক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম চৌধুরীসহ বিভিন্ন পদে আরও ১০ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন।

নির্বাচনে বিজয়ী অন্যরা হলেন- সিনিয়র সহসভাপতি মো. ওমর ফারু(৪৪২) ও সহসভাপতি আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া (৫৫৪), দুটি যুগ্ম সম্পাদক পদে শাহেদ চৌধুরী (৫৯৯) ও মাইনুল আলম (৫৫৪)এবং কোষাধ্যক্ষ পদে শ্যামল দত্ত (৫৯৩)।

এ ছাড়া ১০টি সদস্যপদে বিজয়ীরা হলেন- কুদ্দুস আফ্রাদ (৫১৫), শামসুদ্দিন আহমেদ চারু (৫০৭), রেজোয়ানুল হক রাজা (৪৮৪), শাহনাজ বেগম (৪৬২), মো.সানাউল হক (৪৪২), কল্যাণ সাহা (৪৩৯), জাহিদুজ্জামান ফারম্নক (৪২৯),সৈয়দ আবদাল আহমেদ (৪১৭),বখতিয়ার রানা (৪০১) ও হাসান আরেফীন (৩৯১)। এর মধ্যে মো. সানাউল হক, সৈয়দ আবদাল আহমদ ও বখতিয়ার রাণা বিএনপিপন্থি প্যানেল থেকে এবং সরকার সমর্থক জাহিদুজ্জামান ফারু স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়েছেন।